গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী দলিত আন্দোলনের নেতা শরদিন্দু উদ্দীপনকে ফেসবুকে সরস্বতী পুজা সম্পর্কে সমালোচনাত্মক পোস্ট করার ফলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে থানায় তুলে নিয়ে যায়, দীর্ঘক্ষণ আটক রাখে, এবং এর পর ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০৪ ও ৫০৫ দারায় অভিযুক্ত করে। প্রথমত এই ধারাগুলি ‘নন-কগনাইজেবল’, তাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ এফ আই আর পর্যন্ত করা আইনসিদ্ধ নয়। দ্বিতীয়ত, এই ঘটনা দেখাচ্ছে, একদিকে যে কোনো সংখ্যালঘু ধর্মীয় আচরণ সম্পর্কে প্রকাশ্য হামলাও এ দেশে পুলিশের নজর এড়ায়, আর অন্যদিকে, হিন্দু সবর্ণ আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ ফেসবুকে লিখলে পুলিশ তাঁর বাড়িতে ঝাপিয়ে পড়ে। এবং সে বিষয়ে পুলিশের সাম্প্রদায়িকরণ পশ্চিমবংগে অন্য রাজ্যের চেয়ে কম নয়। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের এই বে-আইনী, কার্যত যে কোনো গুন্ডাবাহিনীর মতো বাড়িতে চড়াও হয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং মতপ্রকাশের অধিকার কেড়ে নিতে চেষ্টা করার নিন্দা করছি।
৭ই ফেব্রুয়ারী এই ঘটনার প্রতিবাদে এপিডিআর, আইপওয়া, আইসা ও অন্য বিভিন্ন গণসংগঠন এবং মানবাধিকার রক্ষা সংগঠন কামালগাছি এলাকায় প্রতিবাদ সভার ডাক দিলে পুলিশ সভার উপর হামলা করে এবং লাঠিপেটা করে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের অবশেষে ছাড়া হলে আবার বিক্ষোভ দেখান হয়, এবং পুলিশ হিংস্র লাঠিচার্জ করে ও নারী সংগঠন, ছাত্র সংগঠন সহ বিভিন্ন গণসংগঠনের কর্মীদের গ্রেপ্তার করে। লাল সেলাম স্লগান দেওয়ার জন্য প্রচন্ড মারা হয়। থানার ভিতরে চলে মারধর। মেরে রক্তাক্ত করা হলেও যথাযথ চিকিৎসা করা হয় নি।
আজ ৮ই ফেব্রুয়ারী তাদের বারুইপুর কোর্টে তোলা হয়। পুলিশের রেওয়াজ অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক অভিযোগ নয়, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং কোমরে দড়ি বেঁধে আনা হয়েছে, ঠিক ঔপনিবেশিক যুগের শেখা কায়দায়। আদালতে পুলিশ জামিনের বিরোধিতা করে, এবং আজকের মতো আবারও বন্দিদের জেলে রাখা হয়। বন্দীদের মধ্যে এমন ছাত্রীও আছে, যার কাল পরীক্ষা।
র্যাডিক্যাল সোশ্যালিস্ট এই সমগ্র প্রক্রিয়াকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করছে। আমরা মনে করি, যারা এই ঘটনার মধ্যে নিছক নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের কুকীর্তি দেখছেন তাঁরা বাস্তব পরিস্থিতি থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখছেন। ফ্যাসিস্ট-হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্য উগ্র-দক্ষিণপন্থী দল, যেমন তৃণমূল কংগ্রেস, এবং তাদের পরিচালিত সরকার, কোনো মিত্র নয়। নরেন্দ্রপুর থানা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে না, এবং রাজ্য সরকার কোন অন্যরকম অবস্থান নেয় নি। সমস্ত বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক শক্তিদের বুঝতে হবে, একজনের উপরে আঘাত সকলের উপরেই আঘাত। কারো মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আক্রমণ হলে, অন্যদের সংহতি জানিয়ে লড়াই করতে হবে।
আমরা দাবী করছিঃ
· শরদিন্দু উদ্দীপনের উপর থেকে অভিযোগ তুলে নিতে হবে।
· ৭ই আক্রান্ত প্রত্যেককে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে ও মামলা তুলে নিতে হবে।
· নরেন্দ্রপুর থানার দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমরা সকলকে আহ্বান করছি, আগামীকাল , ৯ই ফেব্রুয়ারী, কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা যে প্রতিবাদ মিছিল আহ্বান করা হয়েছে তাতে সামিল হতে দুপুর ২টোয় বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হতে।
র্যাডিকাল সোশ্যালিস্ট, পশ্চিমবঙ্গ, ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২২
The murder of thirteen workers in Oting village, Mon district, Nagaland, is the latest case in myriad cases where the army has used extreme violence against citizens of India, and has remained sheltered behind the law. The false and undemocratic ideas about national integration and a homogeneous India, which the rulers of India have sought to portray since independence, has repeatedly led to perversions of behaviour by the Centre, never more so than by the Modi government. The murders in Nagaland are the latest addition to these. That Amit Shah in Parliament delivered a trite speech saying the centre ’regretted’ the killings, that an SIT has been formed, and remarks that such ‘incidents’ should not happen in the future mean absolutely nothing. What gives the army impunity is the very existence of laws like the Armed Forces Special Powers Act. The current killings are absolutely the responsibility of the current central government. But the Congress, which is today shouting about it, is the party that passed the Act in the first place. Repeal of AFSPA must become a mass movement, not petty parliamentary scoring for a few days.
Radical Socialist:
· Condemns the killings of the workers and condoles their families.
· Demands the repeal of AFSPA
· Demands the trial of the soldiers and officers responsible for them on charges of murder
· Demands compensation for the families of every murdered worker
7 December 2021
১৫ই অক্টোবর ভোররাত্রে লাখবীর সিং নামে এক ৩৫ বছর বয়স্ক মাঝাবি শিখ (যারা দলিত থেকে শিখধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে) শ্রমজীবীকে দিল্লীর কাছে সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রতিবাদ ক্ষেত্রে নৃশংসভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ করা হয়েছে যে লাখবীর সিং শিখ সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ চুরি করতে চেষ্টা করেছিল। নিহাং শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা এগিয়ে এসেছে এবং এই বর্বর কাজের দায়িত্ব স্বীকার করেছে। নিহাং সম্প্রদায়ের নেতারা শুধু যে এই কাজের জন্য কোনো অনুতাপ প্রকাশ করেন নি তাই না, উপরন্তু তাঁরা ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা এই কাজকে সমর্থন করেন এবং ভবিষ্যতে এরকম ধর্মের প্রতি অবমাননাকর কাজ হলে আবার এই প্রতিক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এস কে এম) ইতিমধ্যেই এই হত্যার নিন্দা করেছে এবং নিহাংদের থেকে নিজেদের দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। হিন্দুত্ববাদী দক্ষিণপন্থীরা এই সুযোগে দ্রুত বলতে চেষ্টা করছে যে কিসান আন্দোলন সার্বিকভাবে আইন-শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ার জন্য , এমনকি সার্বিক নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী।
প্রথমত, আমরা বামপন্থী হিসেবে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একজন সাধারণ শ্রমজীবির এই হত্যার নিন্দা করছি। এমনকি যদি সংশয়াতীতভাবেও প্রমাণিত হত, যে লাখবীর সিং ধর্মের প্রতি অবমাননাকর কাজের দোষে দুষ্ট, তবু কোনো ব্যক্তি নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না, এবং অবশ্যই এইরকম অবর্ণ্নীয় পাশবিক কাজ করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, এই ঘটনা স্পষ্ট দেখায় যে সবরকম ধর্মভিত্তিক সংগঠনের মধ্যেই নিহিত থাকে সত্ত্বর প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিতে দ্রুত অধঃপতিত হওয়ার বিপদ। এই কথা কেবল তাদের জন্য খাটে না, যারা হিন্দুত্ব বা রাজনৈতিক ইসলামের ভিত্তিতে সংগুঠিত হচ্ছে। এই কথা খাটে সমানভাবে ক্রিশ্চান মৌলবাদ, বৌদ্ধ মৌলবাদ, বা বর্তমান ক্ষেত্রে শিখ মৌলবাদ প্রসঙ্গে। যে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে, সেটা এই না, যে ধর্মকে নিন্দা করা জরুরী, এবং কেবলমাত্র নাস্তিকতা, নিরীশ্বরবাদের মূল্যবোধ ঊর্ধে তুলে ধরতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা হল, আমরা মানুষের ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস থাকার, তা পালন করার অধিকারের মর্যাদা রাখব, কিন্তু বামপন্থী সাংগঠনিক উদ্যোগকে সবসময়েই ধর্মীয় গোষ্ঠীদের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। আমাদের লড়াই হল সবরকমের শোষণ-নীপিড়নের বিরুদ্ধে, উন্নততর পৃথিবীর জন্য লড়াই। এই উদ্দেশ্য নিয়ে সংগঠিত হলে সব বিশ্বাসের, সব ধর্মের মানুষকে নিতে হবে, কিন্তু সেটা ধর্মভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে হতে পারে না। তৃতীয়ত, চলমান কিসান আন্দোলনকে এই বর্বর হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করা ভুল। যে কিসান আন্দোলন চলছে, সেটা ভারতের অন্যতম দীর্ঘ গণ আন্দোলন, এবং এই আন্দোলন চলছে যে সরকারের বিরুদ্ধে, সেটা সম্ভবত স্বাধীন ভারতে দেখা গেছে এমন সবচেয়ে পাশবিক এবং নিপীড়ক কেন্দ্রীয় সরকার। এই আন্দোলন তার বর্তমান আকারেই ১৪ মাসের বেশীদিন ধরে চলছে, এবং তা প্রায় সম্পূর্ণই অহিংস ছিল। আমরা যখন এই নৃশংস হত্যার নিন্দা করি এবং হত্যাকারীদের বিচারের দাবী করি, তখন, তার সঙ্গে সঙ্গেই, আমরা এই আন্দোলনের উপর দক্ষিণপন্থী আক্রমণের বিরোধিতা করি।
সবশেষে আমরা আর একটি, কম উল্লিখিত ঘটনার দিকে ফিরে তাকাতে চাই। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একজন ২৬ বছর বয়স্কা মেয়ে কৃষক আন্দোলনের যে কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপি বিরোধী প্রচারে এসেছিলেন তাদের সঙ্গে যোগ দেন এবং তাদের সঙ্গে টিকরি সীমান্তে আসেন। অভিযোগ করা হয়েছে যে পথে কিসান সোশ্যাল আর্মি নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা তাঁকে আক্রমণ করে এবং আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে টিকরিতে থাকার সময়ে তাঁকে ওই হয়রানিকারীরা ধর্ষণ করে। কোভিডের দ্বিতীয় প্রকোপের সময়ে তাঁর কভিডে মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বাবা এফ আই আর করেন।
অবশ্যই, বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের দক্ষিণপন্থী সমর্থকরা উপরের ঘতনাতিকে কখনো কখনো ব্যবহার করেছে, আন্দোলনের দিকে কাদা ছেটাতে। আমাদের আন্দোলনে প্রতি সংহতিতে অবিচল থাকতে হবে, কিন্তু সেটা গণ জমায়েতের প্রগতিশীল ক্ষেত্রের মধ্যেও যে কিছু অত্যাচার বা নিপীড়নের ঘটনা ঘটতে পারে, তাকে ঝাঁট দিয়ে লুকিয়ে রেখে না। এই রকম ঘটনাকে সামনে এনে প্রতিবাদ করলে আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ হবে, আমাদের শক্তি কমে যাবে, যদি মেয়েরা, দলিতরা (লাখবীরের মত), এবং অন্যান্য অত্যাচারিত গোষ্ঠীর মানুষরা নির্ভয়ে আমাদের আন্দোলনে যোগ দিতে না পারে। আমরা যেরকম সমাজে বাস করি, তাতে এটা স্বয়ংক্রিয় ভাবে হবে না। এর জন্য আমাদের সব সময়ে এই রকম ঘটনা সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে, এবইং আন্দোলনের নামে কখনো এমন ঘটনাকে লুকিয়ে রাখলে হবে না। এটাই হবে অন্যায় যেখানে, যেভাবে মাথা তোলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের অঙ্গীকার, এবং এটাই আমাদের লড়াইকে মজবুত করবে।
১৮/১০/২০২১
Radical Socialist condemns in the strongest language the setting of fire on idols and Durga puja pandals, temples, destruction of homes belonging to minority Hindus, killings, in Comilla and other places in Bangladesh over the issue of keeping the Quran underneath an idol in one Durga Puja place in Comilla, Bangladesh. Radical socialist demands that the guilty people must be identified and immediately subjected to exemplary punishment.
Already, leftist and progressive forces in Bangladesh have come out on the streets to protest and resist. And meanwhile the BJP-RSS Sangh family is trying to use this to further carry out communal polarization in India, notably in West Bengal. They are busy trying to show how Hindus are under threat. But they want to erase from public understanding the reality that this is a worldwide problem faced by minorities.
This is the trauma of Muslims in India and Palestine, of Hindus in Bangladesh, and the Rohingya ethnic community in Myanmar, who are also Muslims.
Radical socialist supports the defence of the rights of minorities, whether in India or Bangladesh or any other corner of the world.
The geographical area of South Asia, which had been formerly a British colony, has seen one communalism sustaining another, helping each other grow. The ruling classes of the concerned countries fully utilise these, and internationally, the big economic and political powers in their geopolitical rivalries also fully use these conflicts.
Accordingly, in this geographical area, leftist and progressive forces have no alternative to abandoning narrow nationalist positions and joining the struggle together.
Radical Socialist believes that in this sub-continent in the struggles against fascism and communalist fundamentalism all leftist and progressive forces must work unitedly regardless of which country they are in.
Radical Socialist, West Bengal unit
18.10.2021
― বাংলাদেশের কুমিল্লায় এক দুর্গাপূজার মন্ডপে এক মূর্তির তলায় কোরান রেখে দেওয়া এবং তাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লাসহ সে দেশের নানান জায়গায় মূর্তি, মন্ডপ, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙ্গচুর, প্রাণহানি প্রভৃতি ঘটনাকে র্যাডিকাল সোশ্যালিস্ট তীব্র ভাষায় নিন্দা করে ও ধিক্কার জানায়।একই সাথে এই ঘটনা পরম্পরায় দোষীদের চিহ্নিত করে, অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
― ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বাম আন্দোলন ও প্রগতিশীল শক্তি এই ঘটনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করছে, আর একে কেন্দ্র করে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি-আর এস এস - সংঘ পরিবার। তারা হিন্দুরা কতটা আক্রান্ত দেখাতে ব্যস্ত। কিন্তু এটা যে সারা দুনিয়ার সংখ্যালঘুদের সমস্যা তা জনমানস থেকে মুছে ফেলতে চাইছে।
― এই সমস্যা ভারত আর প্যালেস্তাইনের ক্ষেত্রে মুসলিমদের, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হিন্দুদের আর মায়ানমারে এক নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর রোহিঙ্গাদের, যারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
― র্যাডিকাল সোশ্যালিস্ট সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার পক্ষে, তা ভারতে বা বাংলাদেশে বা পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই হোক।
― দক্ষিণ এশিয়ার এই ভৌগোলিক অঞ্চলে(পূর্বতন ব্রিটিশ উপনিবেশ) এক সাম্প্রদায়িকতা অন্য দেশের বিপরীত সাম্প্রদায়িকতাকে জল হাওয়া দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে, বাড়তে সাহায্য করে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর শাসকশ্রেণী তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিরাও ভূ-রাজনীতিতে এই দ্বন্দ্বকে পুরোপুরি ব্যবহার করে।
― অতএব, এই ভৌগোলিক অঞ্চলের বামপন্থী ও প্রগতিশীল শক্তিকে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী অবস্থান পরিত্যাগ করে, যৌথভাবে লড়াইতে সামিল হওয়ার কোন বিকল্প থাকছে না।
― র্যাডিকাল সোশ্যালিস্ট মনে করে এই উপমহাদেশে ফ্যাসিবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে দেশ নির্বিচারে সব বাম ও প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
(১৮.১০.২১)